যার সাথে তুলনা করা হয় তাই বা তাকেই উপমান বলে। যাকে তুলনা করা হয় তাই বা তাকেই উপমেয় বলে। উপমান পদের সাথে উপমেয়ের সাধারণ গুণবাচক পদের সাথে যে সমাস হয় তাকেই উপমান কর্মধারয় সমাস বলে। উপমান কর্মধারয় সমাসের ক্ষেত্রে উপমেয় পদের বা যাকে তুলনা করা হলো তাকে উল্লেখ করা হয়না বা অনুপস্থিত থাকে। যেমন-
বকের ন্যায় ধার্মিক = বকধার্মিক
উপরের বাক্যে [বক] হলো উপমান পদ। কারণ [বক] এর সাথে তুলনা করা হয়েছে। ধার্মিক হলো গুণবাচক পদ। কিন্তুু বকের ন্যায় ধার্মিক কে? যে বকের ন্যায় ধার্মিক সেই হলো উপমেয়। কিন্তুু শর্তমতে উপমান কর্মধারয় সমাসে উপমেয় পদ থাকে না বা অনুপস্থিত।
মিশির ন্যায় কালো = মিশকালো ‘মিশ’ হলো বিশেষ্য বা Noun যা উপমান পদ। ‘কালো’ হলো বিশেষণ বা Adjective সাধারণ ধর্ম বা গুণবাচক পদ।। সুতরাং, উপমান কর্মধারয় সমাসে পূর্বপদ বিশেষ্য বা Noun এবং পরপদ বা উত্তরপদ বিশেষণ বা Adjective হয়ে থাকে।।
উদাহরণ- শশকের ন্যায় ব্যস্ত = শশব্যস্ত
কুসুমের ন্যায় কোমল = কুসুমকোমল
কাঠের ন্যায় কঠিন = কাঠকঠিন
হস্তির ন্যায় মূর্খ = হস্তীমূর্খ
নিমের ন্যায় তিতা = নিমতিতা
বকের ন্যায় ধার্মিত = বকধার্মিক
গো বা গরুর ন্যায় বেচারা = গোবেচারা
কাজলের ন্যায় কালো = কাজলকালো
শশক শব্দের অর্থ [ খরগোশ ]
ন্যায় মানে হলো = মতো বা তুল্য [ শশকের ন্যায় বা মতো ব্যস্ত = শশব্যস্ত ]